আমার চোক দেকেই মানুছ আমাকে ভয় করতোক। ফলে য্যাখুন যে পাপ কত্তে মুন চাহালচে ত্যাখুন ছে পাপ করেচি। কাহুকে কুনু ডর করিনি। এ্যামুন কী তুমাকেও না। কিন্তুক এ্যাখুন খুব ভয় কচ্চে। মরার পরে আমার কী হবে? আমার কী হবে? তাই, এ্যনেক পাপের মধ্যে থিক্যা বাচাই করা দুড্যা পাপ তুমাকে ছুনাবো। ছুনান্যার পর তুমার কাচে ক্ষ্যামা চাহাবো। তুমি আমাকে ক্ষ্যামা করে দিও খুদা, তুমি আমাকে ক্ষ্যামা করে দিও।
Latest News
-
-
তাতে,আল্লা খুশি হয়ে খেত ভরা ফসল দিবেক, চাষার ঘরের আয়-বরকত সব বেড়ে যাবেক। খাওয়া-পরার কুনুদিন অভাব হবেকনি। আর একটা হজ করার সমান পূণ্যি হবেক। সেই থেকি খুঁতো গরু জম্ম নিলেই যানগরু বানিয়ে অনেকেই ফকিরের হাতে তুলে দেয়। গরু নিয়ে ফকির গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে, যে চাল-ধান দান করে, তাদের পাপের বোঝা যানগরু নিজের পিঠে নিয়ে নেয়। আর তুরা ভাবিস লেজ কাটার কথা! ওসব চিন্তা মনে আনাও পাপ। তওবা তওবা কর।
-
জীবন দেখে যে দুচোখ দিয়ে যেতে পারে আরো গভীরে
প্রতিটি মুহূর্তে চেটেপুটে নেয় বেঁচে থাকার স্বাদ আর ঘ্রাণ
প্রশ্ন ঘিরে রাখে তার চিন্তন মনন কাণ্ডজ্ঞান -
ঋতু বদলায়, বদলায় মানুষ।
চেনা মুখের অচেনা চাহনি শুষে নেয়-
জীবনের সব আলো। -
মোট ছয়জন বিখ্যাত ভ্রমণকারী–মেগাস্থিনিস, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাঙ, মার্কো পোলো, ইবন বতুতা ও আল বেরুণীর চোখে তৎকালীন ভারতের ছবি ধরা পড়েছে পূর্ণেন্দু পত্রীর এই সরল সহজ বর্ণনায়। ইতিহাস কেবল সাল তারিখ বা ঘটনার নীরস বিশ্লেষণ নয়। ইতিহাস যে কত আকর্ষণীয় ও নিরপেক্ষ হতে পারে তা পত্রীর এই বইটি আমাদের কাছে এক মস্ত প্রমাণ।
-
কেন তাদেরকে গ্রাম ও নিজের রাজ্য ত্যাগ করতে হয়? আর সেখানে গিয়ে তাদের কপালে কী জোটে? উত্তর পাবেন স্ট্যানের নির্ভীক আত্মত্যাগে।
-
কবিতা মেধার শুধু নয়, হৃদয়েরও মানবিক উচ্ছ্বাসের প্রকাশ তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই একদিকে শিশুতোষ জীবনের মর্মরিত আলোক সত্তা তাঁর কবিতায় প্রশ্রয় পেয়েছে, অপরদিকে মানবিক রসের প্রগাঢ় রূপায়ণ ঘটেছে। রোমান্টিক সত্তার সঙ্গে চিরপ্রেমিক সত্তা সংযুক্ত হয়েছে। যেখানেই মানবসংহার সংঘটিত হয়েছে, যেখানেই বিদ্বেষের বিষবাষ্প উঠেছে— কবি সেখানেই তাঁর প্রেমের অমৃতবাণী শুনিয়েছেন।
-
-
দেখিনি দু’বার চালসার সেই অপূর্ব দৃশ্য
যেখানে এক আদিবাসী মায়ের
মাসখানেকের শিশু, এক হাটে,
দুগ্ধ পান করার জন্য উন্মত্ত,
আর কালো নির্জীব মা
শণিত চোখে
হাজার ভ্রমণ পিপাসুর ক্ষুধা মেটায়
অবলীলায় বোতাম খুলে দিয়ে, -
অত্যাচারে জর্জরিত মুন্ডা সমাজে বিরসা হয়ে উঠেছিলেন ত্রাতাস্বরূপ- তাঁর সংগ্রাম মুণ্ডাদের ঠিক কতখানি ঐহিক মুক্তি বা সুখ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিল সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা এই যে, বিরসা হয়ে উঠেছিলেন মুগ্ধ আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মানের প্রতীক। অপমান, উৎপীড়নের বিরুদ্ধে মুন্ডারা যে রুখে দাঁড়াতে পারে, সেই বোধে-বিশ্বাষে বিরসার ঈশ্বরতা- সেই ঐশ্বর্যে বিরসার অনন্যতা, অমরত্ব।